উখিয়া-টেকনাফে আত্মগোপনে অর্ধশত জঙ্গিরা

শফিক আজাদ,উখিয়া :
উখিয়ার পার্শ্ববর্তী পার্বত্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জঙ্গি শফি উল¬াহ, পাকিস্তানের করাচি বাসিন্দা মোঃ আলম (৪৫), মোঃ আমিন (৫০), আব্দুল মজিদ (৩০) কক্সবাজারের জঙ্গিনেতা শেখ সালামত উল¬াহ (৪৫) সহ ৫ জন আটকের খবরে আত্মগোপনে চলে উখিয়াা-টেকনাফ স্থানীয় ও শরনার্থী শিবিরের বসবাসকারী অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গা জঙ্গিরা। এছাড়া ও গ্রেপ্তার আতংকে ভোগছেন নাইক্ষ্যংছড়ি ও উখিয়া-টেকনাফের ডজন খানেক শফিউল্লাহ ও সালামত উল্লাহ জঙ্গি সহযোগিরা।
সুত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের ঝিলিংজা এলাকায় ইসলামিক সেন্টারের নামে জঙ্গি নেতা রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) সামরিক উপদেষ্ঠা সালাউল ইসলামের আর্থিক সহযোগিতায় কুতুপালং ও নয়াপাড়া লেদা ক্যাম্পে ৩ শতাধিক জঙ্গি ক্যাডার মাসিক ভিত্তিক অর্থের বিনিময়ে ইত্তেহাদুল রোহিঙ্গা জঙ্গি সংগঠনের নামে বিদেশী বিভিন্ন এনজিও সংস্থার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আর্থিক দিয়ে থাকেন আটক জঙ্গি শফিউল্লাহ এবং সালামত উল্ল্যাহ। ওই সব জঙ্গিরা রোহিঙ্গাদের অত্যচার নির্যাতনের কথা বলে চট্টগ্রামে বসবাসকারী ইত্তেহাদুল জঙ্গি সংগঠনের নেতা কালাদন প্রেসের মালিক রোহিঙ্গা ভিত্তিক সংবাদ সংস্থার মালিক আবু তাহের বহিঃ বিশ্বে ভিডিও চিত্র প্রকাশ করে থাকেন মুসলিম বিশ্বে। কুতুপালং ক্যাম্পের বি-ব¬কের বসবাসকারী ইত্তেহাদুল জঙ্গি সংগঠনের নেতা মাষ্টার ছৈয়দ হোছন, ই ব¬কের মাষ্টার মনির ও নয়াপাড়া ক্যাম্পের আমান উল¬াহ কক্সবাজার ডিজিটাল হাসপাতালের পাশে ইত্তেহাদুল জঙ্গি সংগঠনের কার্যালয়ে জঙ্গি তৎপরাতা চালিয়ে থাকে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, কুতুপালং আনরেজিষ্ট্রর্ড ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মাষ্টার ইকবাল, ডাঃ ফয়সাল, নুরুল হক মাঝি, মাষ্টার আইয়ুব, হাফেজ জালাল জঙ্গি সংগঠনের অর্থায়নে ৬০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তৎমধ্য মাষ্টার ইকবাল একই ক্যাম্পের হাবিবুর রহমানের ছেলে জঙ্গিনেতা ছৈয়দ আহমদ ৭ দিন আগে বাংলাদেশী পার্সপোট ব্যবহার করে সৌদি আরবে সফরে গিয়ে ওখানে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা জঙ্গিনেতাদের সাথে বৈঠক শেষে রোহিঙ্গাদের জন্য বিপূল অর্থ নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। নয়াপাড়া ক্যাম্পের মৌলভী হোছন কুতুপালং এফ ব-ব¬কে বর্তমানে অবস্থান করছে। ইত্তেহাদুল জঙ্গি সংগঠনের নামে দায়িত্বপালন করছেন কুতুপালং ক্যাম্পের বি-ব¬কের হাফেজ নঈম, জি ব¬কের মৌলভী শফি, আনরেজিষ্ট্রাট মোঃ নূর, জি-ব্লকের আবুল ছালে, আবু ছিদ্দিক ওরফে জঙ্গি ছিদ্দিক, মনিরুজ্জামান, মাষ্টার ফখরুল ইসলাম, আনোয়ার সাদেক, হাফেজ জালাল উদ্দিন, টেকনাফ উপজেলার নীলা ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া শামশুল আলম, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগার আবু আব্দুল¬াহ, কক্সবাজার পাহাড়তলী এলাকার মৌলভী আবু ছালে, উখিয়া মনখালীর জোবাইর, শাপলাপুরের ডাঃ খাইরুল আমীন, মৌলভী আজিজ রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত না যেতে উৎসাহ যোগাচ্ছে পাশাপাশি কক্সবাজার থেকে অন্যত্রে সরিয়ে না যেতেও রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ভাবে প্ররোচনা দিয়ে উৎসাহ যোগাচ্ছেন বলে সুত্রে প্রকাশ। এদিকে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ৩বিদেশী সহ ৫জন জঙ্গি নেতা আটকের পরে গা ঢাকা দিয়েছে অর্ধশত জঙ্গি নেতা। নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) এ.এইচ.এম তহিদুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে আটক জঙ্গিনেতা শফি উল¬াহর বিরুদ্ধে থানায় কোন অভিযোগ নাই বলে জানালেও জঙ্গি সম্পৃক্ততার ব্যাপারে স্থানীয় ভাবে তদন্ত চলছে বলে তিনি সাংবাদিকদের স্বীকার করেন। কুতুপালং ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ শহিদুল হক জানান, রোহিঙ্গা বস্তিগুলোতে বাহির থেকে বিভিন্ন সময়ে লোক জন এসে রোহিঙ্গাদের সাথে বৈঠক করার সত্যতা স্বীকার করলেও ক্যাম্পে জঙ্গি তৎপরতা আছে কি না জানাতে অনীহা প্রকাশ করেন। কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ সরওয়ার কামাল জানান, তদন্ত সাপেক্ষে জঙ্গির সাথে সম্পৃক্ত লোকজনকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।